উইকিপিডিয়ার মতে, ইন্টারনেট হলো সারা পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত, পরস্পরের সাথে সংযুক্ত অনেকগুলো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমষ্টি যা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এবং যেখানে আইপি বা ইন্টারনেট প্রটোকল নামের এক প্রামাণ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে ডেটা আদানপ্রদান করা হয়।
উদাহরণে ফিরিঃ আমি যখন ক্লাস ৭ এ পড়ি, তখন পৃথিবীতে ২০০৮ সাল চলে। আমার মাথায় তখন থেকেই ঘুরতেছে কিভাবে কিছু হাত খরচের টাকা নিজে উঠাতে পারি! কারণ এই বয়সে আর কি করা যাবে!
হাত খরচ বেশি লাগতো কারণ, আমার খুবই শখ ছিল লাইব্রেরীতে সুন্দর সুন্দর নোট প্যাড আছে যে, ঐগুলা কেনা সাথে নানান রকমের পেন্সিল, কাটার, রাবার ইত্যাদি। বাসায় বললে বকা খেতে হয়, তাই নিজেই কেনার পথ খুঁজি।
আমার তখনও কম্পিউটার নাই, তবে একটা নকিয়ার জাভা ফোন আছে। যেটার মাধ্যমে একটা ব্রাউজার ছিল 'অপেরা মিনি' নাম এ, সেটা দিয়ে ইন্টারনেট এ ঢুকে(গুগল) অনেক কিছু জানা যেত। আমি কোন একটা ব্লগ সাইটের মাধ্যমে জানতে পারি ওয়েব ডিজাইন এর ব্যাপারে! কিনত টাকা ইনকামের বিষয়ে জানিনি তখনো!
যাই হোক, আমি আর খুঁজা শুরু করি কিভাবে এইটা শেখা যায়।
মাথায় তাই ঘুরছিল! তখন আমি নরসিংদীতে থাকি, কোন কারনে ২-৩দিন পরেই আমার শহরে আসা হয়, সেখানে আমি একটা পোস্টার দেখতে পাই যে, ওয়েব ডিজাইন শিখে আয় করুন মাত্র ৩ মাসে। ৩০,০০০টাকা ফি।
২০০৮ এ ৩০,০০০টাকা অনেক কিছু! সম্ভব না শেখা এতো টাকায়- এই ভেবে চলে আসি।
গুগল করে ইংরেজী ব্লগ দেখে দেখে আর W3school থেকে শেখা শুরু করি। ১৭কেবি স্পিড এর নেট। বুইঝেন! ক্লাস ৮ এ আমি একটা ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলি। এবার মাথায় গুটাচ্ছে টাকা কামানোর চিন্তা।
১০০০টাকা জোগাড় করে একটা ডোমেইন কিনি। ওয়েবসাইটকে একটা ফ্রি হোস্টিং এ হোস্ট করি। এইসব ও শিখতে হয়েছে নেট থেকেই!
ওয়েবসাইটটার ট্রাফিক এতোই ছিল যে, তখনের সময়ে এলেক্স রেংক এ আমাদের দেশ থেকে ২১০০তে ছিল। পরে হয়তো আর আগিয়েছে। এই প্রজেক্টা আমি যদিও ২০১৬ পর্যন্ত চালিয়েছি।
এই সময় গুলোতে এই ওয়েবসাইট দিয়ে যা কামিয়েছি, তাই ছিল আমার হাত খরচ!
এইটা একটা উদাহরণ মাত্র! এই সব জিনিস গুলা শিখতে গিয়ে যা যা শিখেছি, তাই কাজে লাগিয়ে আমি আমার স্কিলকে ট্রাই করেছি আলাদা একটা জায়গায় নিয়ে যেতে। বিনিময়ে বর্তমানে কাজ করছি দেশের সেরা কিছু স্টার্টাপ দের একটিতে। ইন্টারনেট আমার জীবনে অনেক ভূমিকা রেখেছে!
তাই আমার কাছে ইন্টারনেট এর সুফল অনেক অনেক! ভালো জিনিসগুলো পিক করতে পারলেই হয়!
0 মন্তব্যসমূহ